টানা দু' সপ্তাহ ধরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণী গবেষকের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।অবশেষে তার মৃত্যুর ১৪ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রুরাল ডেভলপমেন্ট বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক তথা ঐ গবেষকের পিএইচডি সুপারভাইজার সিদ্ধার্থ শংকর লাহা। গতকাল রাতে তাকে আসাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি আদালতে পাঠানো হয় ধৃত অধ্যাপককে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ই মে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানার অন্তর্গত শিব মন্দির এলাকায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে ওই গবেষক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এরপর গত ১৮ মে মৃতার পরিবারের তরফে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নামে পুলিশ এবং অধ্যাপকের কঠোর শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলে বিক্ষোভ।
জানা গিয়েছে, ধৃত অধ্যাপকের মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে মাটিগাড়া থানার পুলিশ ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের যৌথ অভিযানে ও আসাম পুলিশের সহযোগিতায় আসাম থেকে ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি নিয়ে আসে মাটিগাড়া থানার পুলিশ।
গ্রেফতারের মুহূর্তে তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অত্যন্ত সাবলীল কণ্ঠে তাকে বলতে শোনা যায়, "যা বলবে কোর্ট বলবে।" সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।