গভীর রাতে বাবাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করল ছেলে

গভীর রাতে বাবাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করল ছেলে। মৃত ব্যক্তির নাম অবিরাম দাস (৭০)। তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের অন্ধরান ফুলবাড়ী ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উল্লার খাওয়া ঘাট নয়েশ্বরী এলাকার ঘটনা। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটিকে উদ্ধার করে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনায় রাতে দুই ছেলেকে আটক করা  হলে বড় ছেলে রামচন্দ্র দাসকে ছেড়ে দিলেও ছোট ছেলে অভিযুক্ত লক্ষণ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

  প্রসঙ্গত জানা যায়, অবিরাম দাসের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। তিনজনের বিয়ে হয়ে গেলেও ছোট ছেলে লক্ষণ দাস অবিবাহিত। নেশাগ্রস্ত হয়ে বাড়িতে বেলাগাম অত্যাচার  এবং তার বাবাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এমন কি সে তার বাড়িতে এর আগেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছিল, বলে জানা যায়। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে পরিবারের লোকজন। তাই বছরখানেক আগে তাকে তুফানগঞ্জ মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বলে জানা যায়। কিন্তু হাসপাতালে তাকে ১৪ দিন রাখার পরে ছেড়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে দুই ভাই আলাদাভাবে থাকে বলে জানান অবিরাম দাসের বড় ছেলে রামচন্দ্র দাস।

  তিনি আর‌ও জানান, প্রত্যেকদিনের মত বাজার থেকে রাত আনুমানিক ৯ টা নাগাদ বাড়িতে ফেরে তার বাবা। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না।  বাড়ি ফিরে দেখতে পারেন তার বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পড়ে এবং তার ছোট ভাই কুড়ুল নিয়ে রান্না ঘরের বারান্দায় বসে রয়েছে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে দেখতে পারে রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর দেহ পড়ে রয়েছে এবং বাড়ির পেছনের দিকে একটি গর্ত করা রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, মেরে মাটিতে পুঁতে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চালিয়েছিল অভিযুক্ত লক্ষণ দাস। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তুফানগঞ্জ জুড়ে।