এক বেসরকারি নার্সিংহোমে আসা রোগীদের প্রেসক্রাইবড্ মেডিসিন বিলে গরমিলের অভিযোগ উঠল ঐ নার্সিংহোমেরই ডিরেক্টর দম্পতির বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই দম্পতি পলাতক। তবে এই ঘটনার সাথে জড়িত নার্সিংহোমের তিন কর্মীকে গ্রেফতার করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। ধৃত তিন জনকে শুক্রবার জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, পলাতক দম্পতির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম অলোক উপাধ্যায়, সুবীর পাল, অমিত সাহা। পলাতক দম্পতির নাম মনিকা আগরওয়াল ও নবীন আগরওয়াল।
জানা গিয়েছে, ওই নার্সিংহোমে মোট ৬ জন ডিরেক্টর রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নার্সিংহোমের সমস্ত দায়িত্ব ছিল পলাতক ডাক্তার দম্পতি মনিকা ও নবীনের ওপর। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নার্সিংহোমে আসা রোগীদের চিকিৎসা বিলে গরমিল করে বলে অভিযোগ ওই দম্পতির বিরুদ্ধে।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে গত ১২ জুন। এরপর ভক্তিনগর থানায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়েই বৃহস্পতিবার রাতে প্রতারণার ঘটনায় সামিল নার্সিংহোমের তিন কর্মীকে ভক্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ঐ দম্পতির সন্ধান কার্য জারি রেখেছে পুলিশ।