"কোথাও যদি শুনি, দোকান বন্ধ করে দিয়ে কাউকে হুমকি দিয়ে টাকা তুলে মদ, মাংস খাওয়া হচ্ছে, তাহলে তার দল করার প্রয়োজন নেই। টাকা নেবেন আপনারা, মদ খাবেন আপনারা, মাংস খাবেন আপনারা, আর দুর্নাম পোহাতে হবে দলকে ও নেতৃত্বকে, সেটার দরকার নেই।" শুক্রবার দিনহাটা নৃপেন্দ্র নারায়ণ স্মৃতি সদনে কোচবিহার জেলার নব নির্বাচিত সংসদ জগদীশ বসুনিয়ার সংবর্ধনা সভা থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধানসভার তৃণমূল-কংগ্রেস কর্মীদের উদ্দেশ্যে হুংকারের সুরে এমনই বললেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। খোদ মন্ত্রীর মুখ থেকে এমন কথা শুনে চাঞ্চল্য জেলার রাজনৈতিক মহলে।
এছাড়াও এদিন সেই সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে আরো বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করলেন উদয়ন। দিনহাটা পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর জোর করে, হুমকি না দিয়ে সাধু সেজে নির্বাচনী প্রচার করার জন্যই দিনহাটা পুরসভায় ফল খারাপ হয়েছে এমনটাই মন্তব্য করলেন উন্নয়ন মন্ত্রী। তাঁর এই মন্তব্যের পর থেকে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।
এদিন তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, "আমরা দিনহাটা শহরে ভোটে হেরেছি, হারার পেছনে তৃণমূলের কমিটি যেমন দায়ী, দিনহাটার নাগরিক হিসেবে আমিও ততটাই দায়ী। কিন্তু সব থেকে বেশি দায়ী দিনহাটা পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর। তাঁরা নিজেদের গায়ে যেন কালি না লাগে, তাঁদের মানুষ যেন কিছু না বলতে পারে, তাঁরা ভোটটা এমন করে করেছে। কারো ওপর কোন জোর দেখাননি, কারো ওপর কোন হুমকি দেননি। একদম সাধুর মতো ভোট করিয়েছেন। তার ফলস্বরূপ আমরা ২০০০ ভোটে হেরেছি। না হলে আমরা হারতাম না। এবার যারা সাধুর বেশ ধারণ করেছিলেন আগামী পুরসভা নির্বাচনে তারা গায়ের জোর না দেখিয়ে কীভাবে ভোটে জেতেন সেটাই দেখার।" উদয়ন গুহের এই বক্তব্যের পর জেলা জুড়ে তরজা তুঙ্গে।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, "সন্ত্রাস ছাড়া তৃণমূল-কংগ্রেস জিততে পারবে না, তারা ভালো মতো জানে। তাই নির্বাচনে তারা সন্ত্রাস করে। দিনহাটাতেও সন্ত্রাস না করলে তারা জিততে পারত না। তাই তারা সবসময় সন্ত্রাস করার কথাই বলে।"