কাজের প্রলোভন দেখিয়ে এক নাবালিকাকে দিল্লিতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথে আরপিএফ এর হাতে ধরা পরলো এক মহিলা। ধৃত মহিলার নাম সীতা পারিখ (৪৯)। উদ্ধার করা নাবালিকাকেও। শুক্রবার এই ঘটনা জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে।
আরপিএফ সূত্রের খবর, ধৃত মহিলা আসামের নাতার বাড়ি এলাকার বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে জানা গেছে, ওই নাবালিকা গত তিন দিন থেকে নিখোঁজ ছিল। এ নিয়ে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সনিতপুরের সংশ্লিষ্ট থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যে কারণে ইতিমধ্যে নাবালিকার পরিবার এবং আসাম পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গৌহাটি থেকে দিল্লি গামী ১৫৬৫৮ ডাউন ব্রক্ষ্মপুত্র মেইলে একটি বাতানুকুল কামরায় ঐ মহিলার সাথে নাবালিকাকে দেখে সন্দেহ হয় ওই কামরায় বেড রোল সরবরাহ করা এক কর্মীর। এর পরেই তিনি বিষয়টি সাদা পোশাকের আরপিএফ কর্মীকে বিষয়টি জানান।
এদিন জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের আরপিএফ ইন্সপেক্টর বিপ্লব দত্ত জানান, তাঁদের কাছে খবর আসার পরেই সন্ধান শুরু হয়। এরপরই পরিবার সনিতপুরে নিখোঁজের অভিযোগ করেছেন। রেলের কাছেও সাহায্য চেয়েছে নাবালিকার দাদা। জলপাইগুড়ি রোড ষ্টেশনে ব্রহ্মপুত্র মেইল আসার পরেই তল্লাশি চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করার পাশাপাশি হেফাজতে নেওয়া হয় সীতা পারিখ নামের ওই মহিলাকে হয়। ধৃত সীতা পারিখের দাবি, তিনি দিল্লীতে কাজ করেন। মেয়েটি কাজের জন্য তাঁর সাথে যোগাযোগ করেছিল। যে কারণেই তাকে নিয়ে দিল্লি যাচ্ছিলেন। তাঁরা জলপাইগুড়ি আসছেন বলে জানান বিপ্লব বাবু। জিজ্ঞসাবাদে নাবালিকা এবং মহিলার কথার কিছুই মিল পাওয়া না যাওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় সীতাকে। সেই সাথে আসাম পুলিশ এবং নাবালিকার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।