মাথাভাঙ্গা ২ ব্লক রুইডাঙ্গার নির্যাতিতা মহিলা সাথে দেখা করতে শনিবার কোচবিহারে এলেন বিজেপির ৭ জন প্রতিনিধি দল। এ শহরের পুলিশ লাইনে এসে জেলা অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার কৃষ্ণ গোপাল মিনার সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। তার আগে পুলিশ লাইন মোড়ে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন বিজেপি নেতৃত্ব। পুলিশের সঙ্গে সাক্ষাতের পর অগ্নিমিত্রা পাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদেরকে বলা হচ্ছে, এটা পারিবারিক বিবাদ। তবে আমরা পুলিশকে ভরসা করছি না। আমরা জানতাম পুলিশ এই কথাই বলবে, আমরা এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।" উল্লেখ্য ৭ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল, ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীর বিধায়িকা শিখা চ্যাটার্জী, ফাল্গুনী পাত্র, শশী অগ্নিহোত্রী, তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক মালতি রাভা রায়, মাফুজা খাতুন ও জলপাইগুড়ি সাংসদ জয়ন্ত রায়।
উল্লেখ্য, গত ২৫শে জুন রুইডাঙ্গা এলাকায় বিজেপি করার অপরাধে এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আক্রান্ত মহিলা প্রথমে ঘোকসাডাঙ্গা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরবর্তী কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপরই গত ২৮শে জুন পুলিশের পক্ষ থেকে 'এক্স' হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানানো হয়, এই ঘটনাটি পুরোপুরি পারিবারিক বিবাদ। এর সঙ্গে কোন রাজনৈতিক বিষয় জড়িত নেই। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ দিন অগ্নিমিত্রা রাজ্যের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে, তাঁকে বলতে শোনা যায়, "মুখ্যমন্ত্রী, আপনার সিকিউরিটি আছে। পশ্চিমবঙ্গে আর কোন মানুষের সিকিউরিটি নেই। কারণ পশ্চিমবঙ্গে কোন লাইন অর্ডার নেই। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ওপর আমাদের ভরসা নেই। আমরা চাই এর সিবিআই তদন্ত হোক। মণিপুরের ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিম পাঠিয়েছিলেন। এখন আপনার টিম কোথায়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনার ভোট ব্যাংক সংখ্যালঘুদের জন্য, যেখানে কোটি কোটি টাকা আপনি বরাদ্দ করেন, তবে বাকিদের সুরক্ষার জন্য আপনি কোন ব্যবস্থা করেন না। সংখ্যালঘুদের ওপর আপনার একচেটিয়া অধিকার। সেই অধিকারের ফল আমরা কোচবিহারে দেখতে পাচ্ছি।মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের ওপর অত্যাচার হলে আপনি পারিবারিক বিবাদ বলেন। এটা পারিবারিক নয়, রাজনৈতিক বিবাদ। কেননা, এই বোনটি আমাদের মাইনরিটি মোর্চা সদস্য।"