তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে তহবিলের অভাব। ফলে বিরোধী সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্যার উদ্যোগেই গ্রামবাসীরা নিজেদের সহযোগিতায় নদী পারাপারের জন্য তৈরি করছেন বাঁশের অস্থায়ী সেতু।
আলিপুরদুয়ার-১ নং ব্লকের বিবেকানন্দ-২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ১২-১৪২ নং বুথ দক্ষিণ জিৎপুর এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা গেল। জানা যায়, গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ডিমা নদী। নদীর পূর্ব প্রান্ত জনবহুল লোকালয়ের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার শহর এবং রেলওয়ে এলাকা। বাজার, স্কুল, হাসপাতাল সবই প্রায় পূর্ব প্রান্তে। নদীর পশ্চিম প্রান্তে এই ১৪২ নং বুথের প্রায় ১২-১৫ টি পরিবার রয়েছে। নদীর ওপর থাকা বাঁশের সাঁকো দিয়েই এতদিন ছিল যাতায়ত। যেখানে সাঁকো থাকলে সেই দূরত্ব মাত্র ৫০০ মিটার, ভরা বর্ষার জলোচ্ছ্বাসে সাঁকো ভেসে যাওয়ায় ফলে মূল শহরে প্রবেশ করতে ঘুরে যেতে হচ্ছে ৩ কিলোমিটার।
অভিযোগ, বারংবার তৃণমূল পরিচালিত বিবেকানন্দ-২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানের কাছে এই সাঁকো তৈরির আর্জি করেও হয়নি সুরাহা। তহবিলের অভাব দেখিয়ে বারংবার নাকচ হয়েছে আবেদন, যা নিয়ে ক্ষিপ্ত গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ। এখন নিজেরাই আর্থিক সাহায্য তুলে নিজেদের শ্রমে তৈরি করেছেন বাঁশের সাঁকো, যা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থানীয় সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্যার অভিযোগ, বিরোধীদের আর্জি, সম্ভবত সে কারণে থেমে রয়েছে শাসকদলের উন্নয়নের কাজ।
যদিও বিবেকানন্দ-২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রোমা তির্কি লোহারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় ফান্ড এলেই তৈরি হবে সাঁকো।