পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী সমেত দুই ভাইকে ধারালো অস্ত্রের কোপ

কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও তার দুই ভাইকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে  তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার সিলামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহাদুরপুর এলাকায়। গুরুতর জখম তিনজনকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সিলামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস দলের প্রধান ফিরোজা খাতুনের স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা । এই ঘটনায় হামলাকারী মুকুলেশ্বর রহমান, জাহাঙ্গীর শেখ, জলিল শেখ সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কংগ্রেসের  গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ফিরোজা খাতুন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের নাম মহম্মদ নাসিরুদ্দিন  (৪০)। তিনি কংগ্রেস দলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ফিরোজা খাতুনের স্বামী। অপর দুইজনের নাম গোলাম সাদানি (৩৩)  এবং নাসির আহমেদ (২৮)। এরা দুইজন কংগ্রেস প্রধানের স্বামীর ভাই। 
পুলিশকে অভিযোগে সিলামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস দলের প্রধান ফিরোজা খাতুন জানিয়েছেন, তাদের বাড়ির এক বয়স্ক বৃদ্ধ দাদু মানসিক ভারসাম্যহীন।  বাড়ির ওই বৃদ্ধ রাস্তায় বেরালে তাঁকে এলাকার তৃণমূল কর্মী জাহাঙ্গীর শেখ , জলিল শেখ, মুকুলেশ্বর রহমানও তার দলবল অন্যায় ভাবে মারধর করে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলেই অতর্কিতে আজ সকালে দুষ্কৃতীরা তাদের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের লোকজন বলে অভিযোগ। প্রধান বলেন,  প্রথমেই হাঁসুয়া দিয়ে প্রধানের স্বামী মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন  উপর কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে । নাসিরুদ্দিনের দুই ভাই বাধা দেওয়ায় তাদেরকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
কালিয়াচক ১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মিজারুল রহমান জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল দলের দুষ্কৃতীরা জড়িত রয়েছে। অন্যায় ভাবে দলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও তার দুই ভাইয়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।  পঞ্চায়েত ভোটে হেরে যাওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের লোকজন নানা ভাবে হেনস্তা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। 
যদিও এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি শুভময় বসু জানিয়েছেন, এখানে কোন রাজনৈতিক ঘটনা ঘটে নি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পারিবারিক গোলমালের জেরে এরকম ঘটনা ঘটেছে । লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ এনে বাজার গরম করতে চাইছে কংগ্রেস। তবে লোকসভা ভোটের আগে মালদা জেলার বিভিন্ন এলাকায় যেভাবে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটছে তাতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। 
কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।