প্রচন্ড দাবদাহে কৃষি জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা ভুট্টা ক্ষেত। জল কমে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কমেছে নদীর নাব্যতা। ঠিক সেই সময়ে পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি বেঁধে জল ভর্তি করে মানবিকতার দৃষ্টান্ত গড়লেন উত্তর মহাকালগুড়ি এলাকার উদয়, অমিত, রঞ্জিত, রাহুলের মত তরুণরা।
তাঁদের উদ্যোগেই গ্রামের ১৫ টি গাছে মাটির হাড়ি ঝুলিয়ে জল ভর্তি করে রাখায় তেষ্টা মিটছে পাখিদের। প্রতিদিন সকালে উঠেই জল দেওয়ার জন্য চলে যান জঙ্গলে, গাছে উঠে জল দিয়ে নিজেদের কাজে মত্ত হয়ে যান উদয়, অমিত, রঞ্জিত, রাহুলরা।
কামাখ্যাগুড়ি ভলেন্টিয়ার অর্গানাইজেশনের সম্পাদক তথা সমাজসেবী উদয় দেবনাথ জানান, শীঘ্রই গোটা গ্রামে পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে জলের ব্যবস্থা করা হবে। উদয়ের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক স্তরের নেতৃত্ব সহ পরিবেশপ্রেমীরা।