ব্যর্থতাই সাফল্যের সিঁড়ি: পড়ুয়াদের বার্তায় আইপিএস স্পিকস

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ইংরেজিতে প্রাপ্ত নম্বর মাত্র ২১। অর্থাৎ অকৃতকার্য। এই পরিস্থিতিতে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে বাবার সাথে হাতে হাত লাগান কৃষিকাজে। হাটে-বাজারে দুধ বিক্রি করে পরিবারের হাল ধরেন। তারপরেও জয় হল ইচ্ছেশক্তির। আজ তিনি আইপিএস। শনিবার ২০শে জুলাই জলপাইগুড়ি প্রেসক্লারের পক্ষ থেকে আয়োজিত "অ্যান আইপিএস স্পিকস" অনুষ্ঠানে নিজের জীবনের এই কাহিনী তুলে ধরে স্কুল পড়ুয়াদের অনুপ্রাণিত করলেন  জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খন্ডবাহালে উমেশ গণপত।

  এদিন জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রয়াস হলে শহর ও শহরতলি এলাকার প্রায় ২০-র বেশি স্কুল ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় এই অনুষ্ঠানে। ক্লাবের সম্পাদক শান্তনু কর বলেন, এই প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। জেলা পুলিশ সুপারের জীবন কাহিনী তাদের আগামী দিনে চলার পথে অনুপ্রাণিত করতে পারে। সেই দিক চিন্তা করেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

  এ দিন পুলিস সুপার জানান, অকৃতকার্য হ‌ওয়া মানেই জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয়। হোঁচট খাওয়া উঠে দাঁড়ানোর একটি ধাপ মাত্র। এই ব্যর্থতা থেকেই শিক্ষা নিয়ে ইচ্ছেশক্তির জোরে নিজের সেরাটা দেওয়া সম্ভব। এদিন ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি থেকে শুরু করে, ছাত্রজীবনে নেতিবাচক মনোভাব ও তার জেরে অবসাদ থেকে বেড়িয়ে আসার পথ- একাধিক বিষয়ে পড়ুয়াদের একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাদের আপন করে নেন পুলিশ সুপার খন্ডবাহালে উমেশ গণপত।