মাদক সহ গ্রেফতার ‘অপসারিত’ সিভিক ভলান্টিয়ার ও সহযোগী

ন্যক্কারজনক ঘটনার বাইশতম দিনেও রাজ্য-রাজনীতিতে সংবাদ শিরোনামে আর.জি. কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে সঞ্জয় রাই নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং বহিরাগত হয়েও কী করে হাসপাতালের অভ্যন্তরে তার অনুপ্রবেশ সম্ভব, প্রভাবশালীদের সাথে তার ওঠ-বসের রহস্যই বা কী, তার কুল-কিনারা এখনও করে উঠতে পারেনি প্রশাসন, এই অভিযোগে দিনকে দিন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন আমজনতা। এরই মধ্যে এবার আরও এক ‘অপসারিত’ সিভিক ভলান্টিয়ারের কুকীর্তি ফাঁস! জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশের হাতে এবার মাদক সহ গ্রেফতার কিশোর রায় নামে ‘অপসারিত’ ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ও তার এক সহযোগী।

  জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন বালাপাড়ায় তিস্তা নদীর চরে দুই যুবককে মাদক সেবন করতে দেখে স্থানীয়রা। এরপর তাদের ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখন এক যুবক নিজেকে ‘সিভিক ভলান্টিয়ার’ হিসেবে পরিচয় দেয়। এরপর স্থানীয়রা জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই দু’জনকে আটক করে এবং তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে দেড় গ্রাম ব্রাউন সুগার এবং নেশা করার ৯৩টি ট্যাবলেট উদ্ধার করে। ধৃতদের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার পরিচয় দেওয়া যুবকের দাবি, অভ্যেসের বশবর্তী হয়ে ওই মাদক কিনেছিলেন। থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর দু’জনকেই পরবর্তীতে গ্রেফতার করা হয়।

  পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম সমীর মণ্ডল, সে জলপাইগুড়ি শহরের কিং সাহেব ঘাট এলাকার বাসিন্দা। অপরজন কিশোর রায়। বাড়ি বানারহাটের কলাবাড়ি এলাকায়। বানারহাট থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন এই কিশোর রায়। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ ওঠায় গত ১৬ই অগাস্ট তাকে সিভিকের কাজ থেকে অপসারণ করা হয় বলে জানান জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার উমেশ খাণ্ডবাহালে। দু’জনের বিরুদ্ধে মাদক বিরোধী আইনে (NDPS Act.) মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ, শুক্রবার দু’জনকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে এবং রিমাণ্ডে নেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

সম্প্রতি আর.জি.কর কাণ্ড সহ একাধিক ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের নাম জড়ানোর পর এবার মাদক সহ এক প্রাক্তন সিভিকের গ্রেফতারির ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।