'হিউম্যান এরোর' তথা মানুষের হাতে ঘটা ত্রুটি-র ফলেই বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনা! শিলিগুড়ি লাগোয়া রাঙাপানি সংলগ্ন এলাকায় রেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। মালগাড়ির যিনি ড্রাইভার ছিলেন, তিনি কোনো কারণে সিগন্যাল মিস করে যাওয়ার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে, প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাঙাপানির রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় কলকাতাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনে ধাক্কা মারে একটি পণ্যবাহী ট্রেন। ঘটনায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং পণ্যবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৯ জনের।
মৃতদের তালিকায় :
১) কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড আশিষ দে (৪৭), শিলিগুড়ির বলাকা মোড় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
২) পণ্যবাহী ট্রেনের চালক অনিল কুমার (৪৬), তিনি ছিলেন ভক্তিনগর থানা এলাকার বাসিন্দা।
৩) কালিম্পং-এর বাসিন্দা কালেব সুব্বা (৩৬), তিনি মালদায় আবগারি দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। বেশ কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে ফের মালদায় কাজে যোগদান করার কথা ছিল তাঁর।
৪) মৃতের তালিকায় রয়েছেন শঙ্কর মোহন দাস (৬৩), কলকাতার বাসিন্দা।
৫) ঈদে বাড়ি ফিরছিলেন বর্ধমানের বাসিন্দা বছর ৪১-এর বিউটি বেগম, বাড়ি ফেরা তাঁর আর হল না।
৬) শুভজীৎ মালি, কলকাতার বাসিন্দা, বয়স ৩৩, দুর্ঘটনায় প্রাণ খোয়ালেন তিনিও।
(বাকি ৩ জনের নাম, পরিচয়, ঠিকানার তদন্ত জারি রয়েছে)
দুর্ঘটনা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, দুর্ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে যা জানা গিয়েছে, যে পণ্যবাহী ট্রেনের চালক কোনো কারণে সিগন্যাল মিস করে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আরো গভীর তদন্ত হলে সম্পূর্ণ বিষয়টি স্পষ্ট হবে।