সমালোচনার জেরে পুরসভার উদ্যোগে করলা নদী সাফাই কার্য শুরু

নদী না পানাপুকুর? তা নিয়ে বিস্তর সমালোচনার পর অবশেষে জলপাইগুড়ি শহরে করলা নদী সাফাই শুরু করল জলপাইগুড়ি পুরসভার কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নদীতে নৌকো নিয়ে সাফাই কর্মীদের নামানোর পাশাপাশি নদীর পাড়ে আর্থ মুভার দিয়ে সাফাই কাজ শুরু হয়েছে।  
  জলপাইগুড়ির ‘টেমস’ করলা নদী বক্ষ কচুরিপানা দিয়ে ভরে যাওয়ার অভিযোগ। পাশাপাশি নদীর পাড়ে জমে থাকা আবর্জনার স্তুপ থেকে দূষণ ছড়াচ্ছিলো শহরে। বাড়ছিলো পতঙ্গ বাহিত রোগের আশঙ্কা। যা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। আর এরপর নড়েচড়ে বসলো জলপাইগুড়ি পুরসভা। শুরু হয় সাফাই কাজ। বৃহস্পতিবার সকালে জলপাইগুড়ি বাবু ঘাটে উপস্থিত হন পুরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল। তাঁর উপস্থিতিতেই শুরু হয় সাফাই কাজ।

  পুরো ঘটনায় আক্ষেপের সুরে চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল জানান, করলা নদীর ড্রেজিং করা অবিলম্বে প্রয়োজন। কিন্তু পুরসভার সীমিত আর্থিক ক্ষমতা দিয়ে তা সম্ভব নয়। পাশাপাশি নদীতে ময়লা ফেলে শহরের একাংশ মানুষ। এবার নদী ঘাটে গার্ড রাখা হবে। যদি কেউ নদীতে আবর্জনা ফেলে, তবে জরিমানা দিতে হবে। নদীতে কচুরিপানা এর আগেও পুরসভা সাফাই করেছে। এবারেও তা করে দেওয়া হবে। কিন্তু নদীর নাব্যতা বাড়াতে সেচ দপ্তরের সাহায্যের প্রয়োজন আছে, যা নিয়ে জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়ে সেচ দপ্তর সহ একাধিক দপ্তরকে সাথে নিয়ে বৈঠক করেছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশা রাখছেন চেয়ারম্যান।