খাদ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে একই তেল দু'বারের বেশি রান্নার কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এবার ওই পোড়া তেল থেকে বায়োডিজেল তৈরি করা হবে। এমনই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ফুড সেফটি বিভাগের তরফ থেকে।
শুক্রবার বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস উপলক্ষে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ডিআরএস হলে বিভিন্ন ফাস্ট ফুড তৈরির প্রতিষ্ঠান হোটেল মালিক, ব্যবসায়ী সংগঠনকে নিয়ে করা একটি সেমিনারে সরকারের রিপারপাস ইউজড কুকিং অয়েল (রুকো) প্রকল্পের মাধ্যমে বায়োডিজেল তৈরি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেমিনারে মোট ৩০ টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ছাড়াও জেলা ডেপুটি সিএমওএইচ -১ ত্রিদীপ দাস, জেলা ফুড সেফটি ইন্সপেক্টিং অফিসার রাজেন্দ্র কুমার রাই সহ অন্যান্য পদাধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা জুড়ে থাকা বিভিন্ন ভাজা জাতীয় ফাস্ট ফুডের ফ্যাক্টরি, মিষ্টির দোকান, এবং হোটেলে ব্যবহৃত পোড়া তেল নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়ে আসছে। এ দিন খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোজ্য তেল রান্নার কাজে ১-২ বারের বেশি ব্যবহার করা যায় না। তারপরেও কিছু প্রতিষ্ঠান ওই তেল তার চেয়ে বেশি সংখ্যক বার ব্যবহার করে আসছে, যা বলা বাহুল্য, স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। আবার ওই পোড়া তেল নিকাশিনালায় ফেলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। যে কারনণে সরকারের রিপারপাস ইউজড কুকিং ওয়েল (রুকো) প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে ওই পোড়া তেল থেকে বায়োডিজেল তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হল।
এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা ফুড সেফটি ইন্সপেক্টিং অফিসার রাজেন্দ্র কুমার রাই বলেন, "সরকারের তালিকা ভুক্ত বেশ কয়েকটি কোম্পানী আছে যারা ওই পোড়া তেল থেকে বায়োডিজেল তৈরি করে। জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে তালিকায় থাকা একটি কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করা হবে।"